বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নোয়াখালী-১ আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হামলার বর্ণনা দেন তিনি। এ সময় নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পরে খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আমার গণসংযোগের সামনে ও পেছনে পুলিশ ছিল। পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের গণসংযোগের বিষয়ে অবহিত করা ছিল। গণসংযোগের একপর্যায়ে সোনাইমুড়ি থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে। আমি নিষেধ করে বললাম, গুলি করছেন কেন? গুলি বন্ধ করেন প্লিজ। তার পরও ওসি সাহেব গুলি বন্ধ করেননি। সম্ভবত শটগান ছিল। আমি বললাম, মানুষকে গুলি কইরেন না। গুলি করলে আমাকে করেন। তখন তিনি আমাকে গুলি করেন! আমার কণ্ঠনালির ওখানে গুলি লেগে রক্ত ঝরছিল। আমি বললাম, আপনি আমাকে গুলি করলেন? তার পর তিনি বললেন, আপনি ওদিকে যান। তার দেখানো পথে যাওয়ার সময় পেছনে আবার গুলি করে। আমার শরীরে সাতটা গুলি লেগেছে। পেছনে ছয়টা, সামনে একটা।
তিনি আরও বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো লোক ছিল না। পরে আমি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দেড়-দুই ঘণ্টা পরে পুলিশ পাহারায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিএনপি সমর্থকদের দোকান, হাসপাতাল ভাঙচুর করে।
মাহবুব উদ্দিন খোকন এ সময় চাটখিল থানার ওসি সামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের ধরে নিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমার এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে না। চাটখিল-সোনাইমুড়িতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কাছে যে অস্ত্র আছে, দুই-তিন থানায়ও এত অস্ত্র নেই। অস্ত্র উদ্ধার করেন। উনারা (কমিশন) বলেছেন, ব্যবস্থা নিচ্ছি। খোকন অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সমর্থক অবৈধ অস্ত্রধারীরা এবং পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে। নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন করছে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা এসব করছে তাদের পরিবর্তনের জন্য সিইসিকে বলেছি।
http://www.sondesh24.com/%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%97%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9c%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%a4/