শনিবার দুপুর ১২টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার নোয়াখালীর সুবর্ণচরের সেই গৃহবধূকে দেখতে যান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আ স ম আবদুর রব, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, জয়নুল আবদীন ফারুক, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্যা বুলু, মো. শাহজাহান, সৈয়দা আশরাফী পাপিয়াসহ বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।
পরবর্তিতে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে মত বিনিময় সভা করেন। মত বিনিময় সভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘জাতি কঠিন সময় পার করছেন। ৩০ ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশন জাতির সাথে একটা তামাশা করেছে। স্বাধীন দেশের মানচিত্রের সাথে পতাকার সাথে প্রতারণা করেছে। তিনি বলেন, হাসপাতালে এসে ধর্ষিতাকে দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কোনো বিরঙ্গনার শরীরেও ২২ কামড়ের আঘাত আছে বলে শুনিনি। এরা পাক হানাদারদেরকেও ছাড়িয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ঐক্যবদ্ধ না হন, ঐক্যফ্রন্টকে শক্তিশালী না করেন, তাহলে সারা দেশ সুবর্ণচর হবে।’
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমি বাকরুদ্ধ। এ জঘন্য ঘটনায় প্রতিবাদ বা নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নাই। নৌকায় একটি ভোট না দেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে দল বেধে ধর্ষণ এবং সারা শরীর কামড়িয়ে কামড়িয়ে তাদের জিঘাংসাকে চরিতার্থ করেছে।’
ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘ভোটের তারিখ ছিল ৩০ ডিসেম্বর। ২৯ তারিখেই ভোট শেষ। এটা ভোট ডাকাতি নয়, মহা ডাকাতি। আর এর পরিণতি কি হবে আমি জানি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ সুবর্ণচর হয়ে যাবে এদের নখের ছোবলে। এদের দাঁতের কামড়ে চর বাগ্গার বোনের মত সারা দেশের মা বোনরা ক্ষত বিক্ষত হবে। ৭১ এর হায়েনারাও এদের মত করেছে। তারাও টিকতে পারেনি।’
আবদুর রব বলেন, ‘দেশে ১৭০টির মত অ্যাম্বেসি আছে। তাদের অধিকাংশ বলেছে এদেশে জনগণ ভোট দিতে পারলে দেশে একটা ভোট বিপ্লব হয়ে যেত। এখন বাংলাদেশে সংসদ সদস্য ৬০০ জন। একটি সংসদ চালু থাকতে আরেক সংসদের সদস্যরা শপথ নিলেন তড়িঘড়ি করে এটা বেআইনি। পার্শ্ববর্তী দেশের এক নেতা শেখ হাসিনাকে রানী দেখতে চেয়েছেন, কিন্তু শেখ হাসিনা ভোট ডাকাতি করে মহারানী হয়ে বসে আছেন।’
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সদ্য কারামুক্ত জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আবদুর রহিম।