মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে সিলেট গড়েছে ১২৭ রান। পুরান শেষ দিকে নেমে ২৬ বলে ৪১ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া অলক কাপালি (১৯) ও আফিফ হোসেন (১৯) কিছুটা চেষ্টা করেছেন ঠিক কিন্তু দলের সংগ্রহ খুব একটা বড় করতে পারেননি।
তরুণ মেহেদী হাসান চার ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়ে সিলেটের এগিয়ে যাওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা ছিলেন। এ ছাড়া মোহাম্মদ শহীদ ও সাইফউদ্দিনও দুটি করে উইকেট পান।
সিলেট সিক্সার্স : ডেভিড ওয়ার্নার, লিটন দাস, নিকোলাস পুরান, অলক কাপালি, সাব্বির রহমান, আফিফ হোসেন, আল আমিন হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, সন্দিপ লামিচানে, মোহাম্মদ ইরফান ও তাসকিন আহমেদ।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস : তামিম ইকবাল, স্টিভেন স্মিথ, এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহাম্মদ শহীদ, আবু হায়দার রনি, জিয়াউর রহমান, মেহেদী হাসান, এভিন লুইস, শোয়েব মালিক ও শহীদ আফ্রিদি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরে যে ক’জন বিশ্বতারকার নাম আলোচনায় তাদের মধ্যে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার সবার উপরে। বিপিএলের দ্বিতীয় দিনই (৬ জানুয়ারি) মুখোমুখি হলেন এই দুই মহা তারকা। কিন্তু রোববার দুপুর ১২.৩০ মিনিটে মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গ্যালারি দেখে তা বোঝার উপায় নেই। সিলেট সিক্সার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচে গ্যালারি বলতে গেলে পুরোটাই ফাঁকা।
কিন্তু ক্রিকেট সমর্থকদের চোখ তখনও আটকে কী করেন ওয়ার্নার তাই দেখার জন্য। কিন্তু এক কথায় হতাশই করলেন অস্ট্রেলিয়ান এই তারকা ক্রিকেটার। পঞ্চম ওভারে মেহেদির বলে রান নিতে গিয়েই বাধান বিপত্তি। নিজের প্রান্ত থেকে ওয়ার্নার বের হয়ে গেলেও অপর প্রান্তে থেকে যান তৌহদ হৃদয়। আর এতেই রান আউট হয়ে ফেরেন এই তারকা ব্যাটসম্যান। ১৩ বলে ১৪ রান করে ফেরেন তিনি।
দলীয় রান ৪৬ হতেই ফেরেন ১৬ বলে ১৯ রান করা আফিফ হোসেনও। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে ফেরেন তিনি। হৃদয়ও ফিরতে সময় নেননি। তবে ২৪ বলে ৮ রান করে ফেরেন তিনি।
ইনিংস বড় করার আভাস দিলেও বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি সাব্বির রহমানও। মাত্র ৫ বল খেলে ৭ রান করে মেহেদির বলে ফেরেন এই হার্ডহিটার। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানরা কিছুটা সময় চেষ্টা করেও দলকে ১২৭ রানের বেশি টেনে নিতে পারেননি।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন নিকোলাস পোরান (২৬ বলে ৪১), এছাড়া ২০ বলে ১৯ রান করেন অলোক কাপালি।