বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিত করাই নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি দারিদ্র্য দূরীকরণ, বেকারত্ব নিরসন, আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, বিনিয়োগ বাড়ানো ও দলীয় কোন্দল নিয়ন্ত্রণও সরকারের জন্য বড় কাজ।
মঙ্গলবার নতুন সরকারের প্রথম দিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরাও নিজ দফতরে এসে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেন। একই সঙ্গে তারা সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি রোধের পাশাপাশি ইশতেহার বাস্তবায়নের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। সোমবার দলটি নতুন সরকার গঠন করে। মঙ্গলবার এ সরকারের যাত্রা শুরু হয়। নতুন সরকার প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমার ধারণা বিতর্কিত বলেই পুরনোদের বাদ দেয়া হয়েছে।
এবার তরুণ, মেধাবীরা মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা জনগণের দাবিকে গুরুত্ব দেবেন কিনা? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তার ইশতেহারে সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে।
এটি করতে হলে সমঝোতার রাজনীতির কোনো বিকল্প নেই। বিভাজিত রাজনীতিতে যুদ্ধংদেহি অবস্থায় দলগুলো। যদি সমঝোতার রাজনীতির মাধ্যমে এই পরিস্থিতির অবসান না ঘটে, তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। আর জনগণের ক্ষমতায়নে সরকার যত দ্রুত উপলব্ধি করতে পারবে, তত দ্রুত সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।
অর্থনীতিবিদ, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বর্তমান মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরা মনে করছেন নতুন সরকারকে কয়েকটি বিষয় মনোযোগ দিতে হবে। প্রধান ও প্রথম কাজ হবে দুর্নীতি দমন, সুশাসন নিশ্চিত, দারিদ্র্য দূরীকরণ, আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগ বাড়ানো ও নির্বাচনীয় ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।
প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দুর্নীতি ও মাদক ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। মন্ত্রিসভার সদস্যরাও প্রথম দিন অফিসে বসেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোতে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দেন।