ভালোই খেলছিলেন তাঁরা দুই জন।হঠাৎ রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন ডেলপোর্ট। সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ২২ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন এ ওপেনার। বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি আশরাফুল। ২৩ বলে ৩ চারে ব্যক্তিগত ২২ রানে ফেরেন তিনি। অলক কাপালির শিকার হয়ে সাজ ঘরে ফিরেন মুশফিকুর রহিম। অধিনায়ক ফিরলে তাৎক্ষণিক পথ হারায় চট্টলার দলটি। এর জের না কাটতেই কাপালির দ্বিতীয় শিকার বনে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেন। যা বন্দরনগরীর দলটির জন্য বড়সড় ধাক্কা হয়ে আসে।
সেই বিপর্যয়ের মধ্যে খানিক চেষ্টা করেন সিকান্দার রাজা। তবে ২৮ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৭ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে ফিরলে থেমে যায় চাটগাঁওয়ের দৌড়। পরক্ষণেই তাসকিনের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন নাঈম। শেষদিকে প্রবল চেষ্টা করেন ফ্রাইলিংক। তাতেও কাজ হয়নি। কেবল হারের ব্যবধানই কমেছে। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ১৬৩ রান তুলতে সক্ষম হয় মুশফিকের দল। ২৪ বলে ১ চারের বিপরীতে ৪ ছক্কায় ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ফ্রাইলিংক।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট সিক্সার্সেকে রীতিমতো চেপে ধরেছিল তারা। চিটাগংয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে শুরুতেই বেশ নাজেহাল অবস্থা হয়ে পড়ে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের দলটির। ডেভিড ওয়ার্নার ও আফিফ হোসেনের দারুণ দুটি ইনিংসের ওপর ভর করে শেষ পর্যন্ত সিলেট বড় সংগ্রহই গড়েছে। ২০ ওভার শেষে ম্যাচে সিলেট গড়ে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। যাতে অস্ট্রেলীয় নিষিদ্ধ ক্রিকেটার ওয়ার্নার করেন ৪৭ বলে ৫৯ রান। তরুণ বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান আফিফ তাঁকে সাপোর্ট দিতে গিয়ে খেলেন ৪৫ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। পরে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান ৩২ বলে ৫২ রানের একটি ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ বড় করতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। রবি ফ্রাইলিঙ্ক ২৬ রানে তিনটি ও নাঈম হাসান ও খালেদ আহমেদ একটি করে উইকেট পান।
সিলেট একাদশ : ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাব্বির রহমান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, অলক কাপালি, নাসির হোসেন, নিকোলাস পুরান, সন্দ্বীপ লামিচানে, মোহাম্মদ ইরফান, তাসকিন আহমেদ ও আল আমিন হোসেন।
চিটাগং একাদশ : মোহাম্মদ শেহজাদ, ক্যামেরন ডেলপর্ট, মোহাম্মদ আশরাফুল, মুশফিকুর রহিম, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সিকান্দার রাজা, রবি ফ্রাইলিঙ্ক, নাঈম হাসান, সানজামুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ।