আগামী ২ থেকে ৮ মার্চ অবধি সাত দিনের জন্য শুরু হচ্ছে ১২ তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৯। উৎসব শুরুর আগে গতকাল ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় মুনিরা মোরশেদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মোরশেদুল ইসলাম, সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও উৎসব পরিচালক আবির ফেরদৌস।
উৎসব নিয়ে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ জানালেন , ‘আয়োজনটি আমরা সাধারণত বছরের জানুয়ারি মাসে করি। কিন্তু এ বছর নির্বাচনের কারণে পিছিয়ে দিতে হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, বিগত ১১ বছরের মতো এ বছর আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব সত্যিকারের উৎসবে রূপ নেবে।’
সেখানে উৎসব পরিচালক জানান, ২ মার্চ বিকেল চারটায় উৎসবটির উদ্বোধন করবেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ওই দিন ছাড়া অন্য দিনগুলোয় বেলা ১১ টা,২ টা; বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট ৪টি প্রদর্শনী হবে। এবারের উৎসবে ঢাকার মোট ৪টি ভেন্যুতে ৩২টি দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উৎসবের সব প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত। এবারের মূল ভেন্যু পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনের পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, ফুলার রোডের ব্রিটিশ কাউন্সিল মিলনায়তন এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম বলেন, উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ। এই বিভাগে এবার ৬৮টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে বাছাই করা ২৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে ৫টি চলচ্চিত্র পাবে পুরস্কার। জানা যায়, উৎসবের সাত দিনের পাঁচ দিনই আয়োজন করা হয়েছে কর্মশালার। দেশের স্বনামধন্য পরিচালকেরা কর্মশালা পরিচালনা করবেন।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসবে শিশুরা বেশ উপভোগ করবে। পাশাপাশি বড়রাও উপভোগ করতে পারবেন। সবার অংশগ্রহণে জমজমাট হবে এবারের উৎসব।’