ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুভাল্লুর জেলার একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষক ২৮ বছর বয়সী জি ভগবান সম্প্রতি তার বদলির নির্দেশ পান। কিন্তু ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ছাড়তে চাইছে না তাদের প্রাণপ্রিয় এই শিক্ষককে। তারা ওই শিক্ষককে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পারে। এমনকি নিজের আবেগ সংবরণ করতে পারেননি ওই শিক্ষকও।
এ সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বদলির আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। শুধু শিক্ষার্থীদের কাছেই না, অভিভাকদের কাছেও সমান জনপ্রিয় শিক্ষক জি ভগবান। উভয়পক্ষই বলছেন, ক্লাসের ভেতরে ও বাইরে শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে জি ভগবানের সীমাহীন অবদান রয়েছে।
জি ভগবান ২০১৪ সালে এ স্কুলটি দিয়েই তার শিক্ষকতা জীবন শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্কুলটিতে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক সংখ্যা বেশি হওয়াতে তাকে অন্য স্কুলে বদলি করার আদেশ আসে।
শিক্ষার্থীদের এমন ভালোবাসা সম্পর্কে ভগবান বলেন, ‘আমি পড়াশোনার বাইরেও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা করেছি। আমি ওদের গল্প বলতাম, ওদের পারিবারিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করতাম, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ওদের সঙ্গে আলোচনা করতাম, প্রোজেক্টরে বিভিন্ন জিনিস দেখাতাম। এইভাবেই আমি ওদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। ওদের কাছে আমি একজন শিক্ষকের চেয়েও বেশি, একজন বন্ধু এবং বড় ভাই।’
ভগবান বলেন, ‘ওরা আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল। আমিও নিজেকে সামলাতে পারলাম না।’
স্কুলের প্রিন্সিপাল এ অরবিন্দ বলেন, ‘আমরা শিক্ষা দফতরের কাছে অনুরোধ করেছি তাকে যেন বদলি না করা হয়। আমাদের বিদ্যালয়ের অন্যতম সেরা শিক্ষক তিনি। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতির জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন এবং বিভিন্ন স্পেশাল ক্লাসের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তোলেন। এমন কী সে ছাত্রদের জন্য খাবারের ব্যবস্থাও করে এবং সব মিলিয়ে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ।’