বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ডিএনসিসি-র মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ছিল ভোটার সংকট। অনেক কেন্দ্রেই সকাল ১০টায়ও ভোটারের দেখা মেলেনি৷ এমনকি কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোট শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যে একটিও ভোট পড়েনি৷

নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলে ভোটারের উপস্থিতি এরকমই হয় বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন৷ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘মানুষ নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে৷ এর কারণ হলো, আগেই দেখেছে ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন না, তাদের ভোট আগেই হয়ে যায়, বুথ দখল হয়ে যায়৷ আগের বড় নির্বাচনগুলোতে যা হয়েছে তার প্রভাব পড়ছে৷ সামনে উপজেলা নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে৷’’
তাঁর মতে, ‘‘মানুষের মনের মধ্যে একটা কথা, আমি গেলেই কী, না গেলেই কী? এই রকম ধারণা যখন জন্মে তখন ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকেনা৷ দ্বিতীয়ত হচ্ছে, যদি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হয় সেখানে গিয়ে মানুষ কাকে ভোট দেবে? আর তৃতীয়ত, ভোটের প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছে৷’’
নির্বাচিত মেয়র মাত্র একবছর ক্ষমতায় থাকবেন, সে কারণে মানুষের আগ্রহ কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘সেটা বিষয় নয়, মানুষতো আগে ৬ মাসের জন্যও ভোট দিয়েছে৷ আসল কথা হলো মানুষ লস্ট ইন্টারেস্ট৷’’

সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনতো সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে৷ তবে ভোটার উপস্থিতির জন্য দায় প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলোর, ভোটারদেরও৷ তবে তাঁরা আগ্রহ হারিয়ে ফেললে আর কী করা যাবে!’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘কেউ কেউ বলছেন ভোট পড়েছে পাঁচ ভাগ৷ এখন ভোটের ফল নির্বাচন কমিশন কী দেয় সেটাও দেখার বিষয়৷’’
প্রসঙ্গত, ডিএনসিসি’র মেয়র উপনির্বাচন ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণের ৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচনও হয়েছে৷ সীমানা জটিলতার কারণে আগে ওই ওয়ার্ডগুলোতে নির্বাচন হয়নি৷ মেয়র উপনির্বাচনে ভোটারদের তেমন আগ্রহ না থাকলেও ওই ৩৬টি ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রগুলোতে ছিল ভোটারদের লম্বা লাইন৷ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক৷