যুক্তরাষ্ট্র ওসামা পুত্র হামজা বিন লাদেন এর মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তার অবস্থানগত তথ্য সরবরাহের জন্য ১০ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত অর্থ পুরস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লাদেন পুত্র হামজাকে নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে হামজা জঙ্গি দলটির গুরুত্বপূর্ণ “প্রধান নেতা” হয়ে উঠেছেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

২০১৫ সালের আগস্টে হামজাকে জনসমক্ষে সর্বশেষ দেখা গেছে। আল-কায়েদার নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরী এ নিয়ে একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি হামজাকে দলের একজন আনুষ্ঠানিক সদস্য হিসেবে এবং “ডেরা থেকে বেরিয়ে আসা সিংহ” হিসেবে পরিচয় দেন। এরপর হামজা, কাবুল, বাগদাদ এবং গাজায় তার দলের অনুসারীদের যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্র অর্থাৎ লন্ডন, প্যারিস ও তেল আবিবের ওপর আক্রমণের আহ্বান জানান।
হামজা বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালাতে বিভিন্ন সময় পুনরায় আহ্বান জানায়। বিশেষ করে জেরুজালেম ইস্যুতে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার সময় তিনি জেরুজালেমকে আখ্যা দেন এমন এক কনে যাকে যৌতুক হিসেবে রক্ত দিতে হয়েছে। তখন থেকেই তিনি পশ্চিমা দেশে টনেকড়ের মতো আক্রমণ’এর আহ্বান জানান। সে সময় তিনি তার পিতার মৃত্যুর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধ’ নেয়ারও অঙ্গীকার করেন।
এছাড়া সৌদি আরবের শাসকদের বিরুদ্ধে এবং ইয়েমেনের মার্কিন সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদের প্রস্তুতি নিতে আরব উপদ্বীপে আল-কায়েদার সমৃদ্ধ শাখা একিউএপি-তে যোগদানের জন্য সৌদির প্রতিও আহ্বান জানান বিন লাদেনের এই ছেলে।
যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীল এমপি প্যাট্রিক মার্সার একবার হামজাকে “সন্ত্রাসের মুকুটধারী যুবরাজ” হিসাবে আখ্যা দেন।
এখন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস-বিরোধী কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে ওসামার এই প্রিয় ছেলে, যার বয়স বর্তমানে ২৯ থেকে ৩০ বছর বলে ধারণা করা হয়, তিনি আল-কায়েদাকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং সন্ত্রাসবাদে সক্রিয় হয়ে উঠতে নিজেকে একজন দক্ষ নেতা হিসাবে গড়ে তুলছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ধারনা করছে, হামজা খুব সম্ভবত আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে আছেন। সেখান থেকে তিনি ইরানেও চলে যেতে পারেন। তবে তার অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারছেন না।