শনিবার দুপুরে বগুড়ার শিবগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী বিউটি বেগমের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।
বিউটি বেগম অভিযোগ করেছেন, হামলার সঙ্গে থানা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা জড়িত আছে। এই অভিযোগে তিনি থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলাও করেছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী বিউটি বেগম জানান, নির্বাচনী প্রচারণা শেষে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনার সময় পাইলট হাইস্কুল এলাকায় ওষুধ কেনার জন্য তিনি গাড়ি থামান। এ সময় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতা তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তাৎক্ষণিক তিনি থানায় ফোন করলে পুলিশ আসার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বিউটি বেগমের গাড়িতে হামলার খবর পেয়েই পুলিশ সেখানে পৌঁছে তাকেসহ গাড়িটি থানায় নেয়। তার গাড়ির চালক হামলাকারীদের চিনতে পেরেছেন। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে খালিদ হাসান আরমান, মাহাদী হাসান তমাল, মীর মুন ও রায়হানুল হক রনির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালিদ হাসান আরমান থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং মাহাদী হাসান তমাল ও মীর মুন যুগ্মআহ্বায়ক এবং রায়হানুল হক রনি থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক।
থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ হাসান আরমান জানান, যে সময় ঘটনার কথা বলা হচ্ছে তখন তিনিসহ অন্যরা বগুড়া শহরে অবস্থান করছিলেন। দল থেকে যেহেতু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে এ কারণে তারা বিউটি বেগমকে প্রতিহত করতে পারেন আশঙ্কায় তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন।