বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে আমাদের প্রথম কাজ খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। সে জন্য আইনি লড়াই হবে এবং এর সঙ্গে আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে জনগণের ঐক্য গড়ে তুলে ও সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে জনগণের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আজ (বুধবার) দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপি আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালনকালে নেতা-কর্মীরা দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। আজ দলটির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। এছাড়া পুলিশের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে। আগের মতো এবারের মানববন্ধন থেকে কোনো আটক বা গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
মানববন্ধনের সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ। চিকিৎসা পাওয়া তাঁর সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সেই অধিকার তিনি পাচ্ছেন না। তাঁকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকার বেআইনিভাবে তাঁকে কারাগারে আটকে রেখেছে। আমরা সবাই জানি, যে মামলাগুলোয় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর প্রতিটিতে তিনি জামিন পেতে পারেন। কিন্তু তাঁকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে একটির পর একটি মামলা দিয়ে আটক রাখা হয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, “খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আমরা অনেক চেষ্টা করছি। কিন্তু তারপরও তাঁকে মুক্ত করতে পারিনি। কারণ সরকারের ‘হিংস্র’ নীতির কারণে খালেদা জিয়াকে বের করতে পারছি না। তবে তাঁর মুক্তি আসবে রাজপথে। তাই আন্দোলনের ছাড়া তাঁর মুক্তির কোনো বিকল্প নেই।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে পেতে হলে ‘গণতন্ত্রের মা’কে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরে পেতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সসহ দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।