মানিকগঞ্জে দুই পুলিশ সদস্য কর্তৃক ধর্ষিত তরুণীকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রবিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্টের পক্ষে এ রিট করা হয়।
অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী গত ১১ ফেব্রুয়ারি সাটুরিয়া থানায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার আগে দু’জনের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই কর্মকর্তাকেই থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হলেও মামলার পরদিন সকালে দু’জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। পরবর্তীতে ১২ ফেব্রুয়ারি আদালত তাদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করা ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম জানান, এ ধর্ষণের ঘটনায় আদালত নির্দেশনাসহ রুল জারি করেছেন।
রুলে তরুণীকে কেন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না এবং হাউজ, মোটেল, গেস্ট হাউজ, হোটেল, ডাক বাংলো, পুলিশ স্টেশন, পুলিশ স্টেশনের রেস্ট রুম, সেফ হোমে নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি থেকে রক্ষায় একটি পরিকল্পনা ও গাইডলাইন তৈরির কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আব্দুল হালিম বলেন, রুল ছাড়াও আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনাও দিয়েছেন। ১৮ এপ্রিলের মধ্যে ওই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট/কেস ফাইলসহ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে হবে।