নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে একজন সিলেটের হোসনে আরা বেগম (৪২)। অসুস্থ স্বামী মসজিদের ভেতরে রয়েছেন ভেবে তাকে খুঁজতে গিয়েই বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাণ হারান এক কন্যাসন্তানের এ জননী। তবে সন্ত্রাসী হামলা থেকে বেঁচে গেছেন তার অসুস্থ স্বামী ফরিদ উদ্দিন আহমদ।
জানা যায়, হোসনে আরা পারভীন সিলেটের গোলাপগঞ্জের লক্ষ্মীপাশা ইউপির জাঙ্গালহাটা গ্রামের মৃত নুর উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী ফরিদ আহমদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করে আসছেন।
এ নিয়ে নিহত হোসনে আরা বেগমের ভাগ্নে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বরের দেলওয়ার হোসাইন দেশীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হোসনে আরা বেগমের সাথে সিলেটের বিশ্বনাথের মিরেরচর গ্রামের মৃত মকররম আলীর ছেলে ফরিদ আহমদের সাথে বিয়ে হয়। তিনি ১৯৯৪ সালে স্বামীর সাথে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমান। তাদের শিপা আহমেদ (১৭) নামের একজন কন্যাসন্তান রয়েছে।
দেলওয়ার হোসাইন আরো বলেন, নিহত হোসনে আরা ২ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে সবার ছোট। ১৯৯১ সালে গোলাপগঞ্জের কোনাচর শাহজালাল আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।
তিনি আরো বলেন, হোসনে আরা বেগম নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টার টাউনে স্বামী সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন। শুক্রবার আল নূর মসজিদে স্বামীকে নিয়ে নামাজ আদায় করতে যান। এ সময় তিনি মসজিদ থেকে বেরিয়ে এলেও স্বামী ফরিদ আহমদ ভেতরে রয়েছেন মনে করে আবার মসজিদের ভেতরে গেলে সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হন তিনি।
তবে আগেই ফরিদ আহমদ নিরাপদে মসজিদ থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন, যা জানতেন না হোসনে আরা। বর্তমানে হোসনে আরা বেগমের লাশ সেখানকার একটি সরকারি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আত্মীয় স্বজনদেরও দেখতে দেওয়া হয়নি বলে দেলওয়ার হোসাইন।