সোমবার রাত ১২টা গড়িয়ে মঙ্গলবার প্রথম প্রহর থেকেই শোনা যাচ্ছিল সাকিব ভারত সফরে যাবেন কি যাবে না- সেটা বড় নয়। সাকিব আদৌ যেতে পারবেন কি না সেটাই দেখার। বোর্ডের অন্তত দু’জন পরিচালকের মুখে এমন কথা শোনার পরও ঠিক বোঝা যায়নি আসল ঘটনা কী?
এরপর মধ্যরাতে (সোমবার দিবাগত রাত দুইটায়) দিকে বোর্ডের দায়িত্বশীল সূত্রের মারফত জানা যায়, সাকিব আসলে ভারতে যেতে চাচ্ছেন না খবরটি ঠিক নয়। আসলে তিনি যেতে পারবেন না। সম্ভবত আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থার রায়ে ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন সাকিব। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশাল-বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েও নিশ্চুপ থাকা।
আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টে বলা আছে, বাজিকরদের কাছ থেকে ম্যাচ বা স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে। না হয় আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা- আকসুকে অবহিত করতে হবে। সে খবর নিজে লুকিয়ে রাখলে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। সাকিব তার কোনোটাই করেননি।
বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে বিষয়টি সত্য। এর অর্থ সাকিবের সামনে নিশ্চিত শাস্তির খড়গ ঝুলবে।
এ ছাড়া সাকিবের বিপক্ষে আরও একটি অভিযোগ উঠেছে। তা হলো বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনকে সরানোর নকশা আঁটা। বর্তমান বোর্ড ভাঙ্গার চেষ্টার অভিযোগও নাকি আছে সাকিবের বিরুদ্ধে। অবশ্য এই অভিযোগের সত্যতা নিয়ে সংশয় আছে।
সব মিলে চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে গুরুতর অভিযোগ সামনে উপস্থিত। অভিযোগের তীরে বিদ্ধ সাকিব শেষ পর্যন্ত কীভাবে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন, সেটাই দেখার।