সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছে বলে এবার স্বীকার করেছে সৌদি আরব। গত ২ অক্টোবর থেকে খাসোগি নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন পর প্রথমবারের মতো তারা এই সাংবাদিকের মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করে। তবে তখন বলা হয়েছিলো, কনস্যুলেট ভবনে কয়েকজন সৌদি নাগরিকের সঙ্গে ‘হাতাহাতির’ ঘটনায় মারা যান খাসোগি।
তবে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার মুখে গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি’র এক রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থায় প্রকাশিত বিবৃতিতে দেশটির প্রধান আইন কর্মকর্তা শেখ সৌদ আল-মজেব বলেছেন, তুরস্ক থেকে পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁরা ঘটনাটি পর্যালোচনা করেছেন। তুরস্ক কর্তৃপক্ষের তথ্য থেকে আভাস পাওয়া যায় যে খাসোগির ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের কর্মকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল। তিনি জানান, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার সৌদি রাজপ্রাসাদে খাসোগির ছেলে সালাহকে ডেকে এনে সান্ত্বনা দেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
তবে এরপরও এ নিয়ে চাপের মুখে রয়েছে সৌদি আরব। খাসোগি হত্যার বিষয়ে বিশ্বনেতারা নানা সন্দেহ প্রকাশ করে এর জবাব চেয়েছেন এবং খাসোগির মরদেহ কোথায় তা জানতে চেয়েছেন।
সৌদি আরবের নতুন এই স্বীকারোক্তির পর তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগ্লু বলেছেন, রিয়াদকে এখন বাকি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে—কে খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তাঁর মরদেহ কোথায় রাখা হয়েছে? তুরস্কের আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মরদেহ কোথায়? আপনারা স্বীকার করেছেন, তারা হত্যা করেছে, কিন্ত তারা কেন বলছে না যে মরদেহ কোথায়? তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পরিবারও জানতে চায় তাঁর মরদেহ কোথায় আছে।’
এদিকে খাসোগি সৌদি রাষ্ট্রের ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের’ শিকার বলে গতকাল মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ আগনেস ক্যালামার্ড। তিনি এ ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্রঃ এএফপি।